About Barisal

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়

১৯৬০ সালে প্রথম বাংলাদেশ স্বাধীনতার আগে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের চাহিদা তৈরি হয়। ১৯৭৩ সালে একটি শহর সমাবেশ অনুষ্ঠিত হওয়ার সময় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিবুর রহমান ঘোষণা করেন।বরিশালে একটি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন যা আকাঙ্ক্ষিত ছিল তার। রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ১৯৭৮ সালে বরিশাল সার্কিট হাউস মধ্যে একটি সমাবেশে একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করেন। তিন দশক পরে বরিশাল মানুষের শক্তিশালী চাহিদা থেকে  ২০০৮ সালের নভেম্বর ২৯, ECNEC (Executive Committee of National Economic Council) এই প্রস্তাব পাশ করে। তারপর তত্ত্বাবধায়ক সরকার দ্বারা। ২২ নভেম্বর, ২০১১, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের বরিশাল বিভাগে অবস্থিত অন্যতম একটি উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং দেশের ৩৩ তম সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভবনের নির্মাণ শুরু করেন। বরিশাল জিলা স্কুল অস্থায়ী ক্যাম্পাসে ২৪ জানুয়ারী, ২০১২ সালে বেলা পৌনে ১১টায় জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে শিক্ষা মন্ত্রী নুরুল ইসলাম এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাগত কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। মুল ক্যাম্পাস ২০১৩ সালে কীর্তনখোলা নদীর পূর্ব তীরে সদর উপজেলার কর্ণকাঠিতে নির্ধারিত হয়। কীর্তনখোলা নদীর তীরে কর্ণকাঠি এলাকায় রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়টির পূর্ণাঙ্গ ক্যাম্পাস যেখানে সকল বিভাগের শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।
ব্যবস্থাপনা,বিপনন,ইংরেজি,অর্থনীতি,সমাজবিজ্ঞান,গণিত এই ছয়টি বিষয় নিয়ে ২০১২ সালের ২৫ জানুয়ারী ক্লাস শুরু হয়।যাতায়াতের সুবিধার জন্য রয়েছে ৫টি দোতলা বাসসহ মোট ১৫টি বাস।বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে একটি মসজিদ রয়েছে। এছাড়াও ৫ তলা বিশিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ নির্মানাধীন রয়েছে।বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারটি কেন্দ্রীয় খেলার মাঠের দক্ষিণ পাশে অবস্থিত।বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে ৬টি অনুষদের অধীনে ২৪ টি বিভাগ রয়েছে।
  • বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদ
  • কলা এবং মানবিক অনুষদ
  • জীববিজ্ঞান ও কৃষি অনুষদ
  • ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ
  • সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ
  • আইন অনুষদ

ভবন সমূহঃ
কাডেমিক ভবন ১
এটি একটি ৬ তলা বিশিষ্ট ভবন। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের একাডেমিক কার্যক্রম এখানে পরিচালিত হয়।
একাডেমিক ভবন ২
এটি একটি ৬ তলা ভবন। ভবনটির ৫ তলায় কীর্তনখোলা অডিটোরিয়াম অবস্থিত।
প্রশাসনিক ভবন ১
এটি একটি ৬ তলা ভবন। মাননীয় ভাইস চ্যান্সেলরের কার্যালয় এ ভবনে অবস্থিত। বিভিন্ন প্রশাসনিক দপ্তরের কার্যালয়ের পাশাপাশি এ ভবনের কিছু অংশ একাডেমিক কার্যক্রমের জন্য ব্যবহৃত হয়।
প্রশাসনিক ভবন ২
এটিও একটি ৬ তলা ভবন। এই ভবনে বিজ্ঞান অনুষদের ডীন অফিস, কলা অনুষদের ডীন অফিস, রেজিস্ট্রারের কার্যালয়, নেটওয়ার্কিং ও আইটি সেকশন, ব্যাংক , মেডিকেল সেন্টার অবস্থিত। এছাড়া কিছু অংশে একাডেমিক কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।
কেন্দ্রীয় লাইব্রেরী
বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরীটির নাম "শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত কেন্দ্রীয় লাইব্রেরী"। এটি একটি চারতলা ভবন।
ক্যাফেটেরিয়া
বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়া একটি ৫ তলা ভবন। ক্যাফেটেরিয়ার একটি অংশ টিএসসি হিসেবেও ব্যবহৃত হয়।
টিএসসি
বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়ার উপরে টিএসসি অবস্থিত। এটি ৫ তলা বিশিষ্ট একটি ভবনে অবস্থিত, যার নীচে কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়ার অবস্থান।
মুক্তমঞ্চ
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চ কেন্দ্রীয় খেলার মাঠের উত্তর পাশে অবস্থিত। এখানে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
মেডিকেল সেন্টার
বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি মেডিকেল সেন্টার আছে। যেখানে শিক্ষার্থীবৃন্দ চিকিৎসকের সেবা পেয়ে থাকেন। মেডিকেল সেন্টারের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪ তলা বিশিষ্ট একটি আলাদা একটি ভবন রয়েছে।
অন্যান্য ভবন
বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য ভবন গুলোর মধ্যে রয়েছে উপাচার্যের বাসভবন, ২ টি ডরমিটরি এবং একটি শিক্ষক আবাসিক ভবন। এছাড়া নিরাপত্তার জন্য রয়েছে একটি পুলিশ ক্যাম্প এবং বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য রয়েছে একটি সাবস্টেশন।
আবাসিক ছাত্র হলঃ
বঙ্গবন্ধু হল
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামানুসারে এই হলের নামকরন করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধু হল ৫ তলা বিশিষ্ট ভবন যা দুইটি ব্লকে বিভক্ত। এখানে মোট ৮১টি আবাসিক কক্ষ রয়েছে। ব্লক ২ এর নীচতলা ডাইনিং, দ্বিতীয় তলা কমন রুম, ইনডোর গেমস ও টিভি রুম, ৩য় তলা রিডিং রুম ও নামাজ রুম হিসেবে ব্যবহৃত হয়। বঙ্গবন্ধু হলের মোট আসন সংখ্যা ৬১০।
শেরে বাংলা হল
শেরে বাংলা হল ৫ তলা বিশিষ্ট ভবন যা দুইটি ব্লকে বিভক্ত। এখানে মোট ৮১টি আবাসিক কক্ষ রয়েছে। ব্লক ২ এর নীচতলা ডাইনিং, দ্বিতীয় তলা কমন রুম, ইন্ডোর গেমস ও টিভি রুম, ৩য় তলা রিডিং রুম ও নামাজ রুম হিসেবে ব্যবহৃত হয়। শেরে বাংলা হলের মোট আসন সংখ্যা ৬১০।
আবাসিক ছাত্রী হলঃ
শেখ হাসিনা হল
শেখ হাসিনা হল ৫ তলা বিশিষ্ট ভবন যা দুইটি ব্লকে বিভক্ত। এখানে মোট ৮১টি আবাসিক কক্ষ রয়েছে। ব্লক ২ এর নীচতলা ডাইনিং, দ্বিতীয় তলা কমন রুম, ইন্ডোর গেমস ও টিভি রুম, ৩য় তলা রিডিং রুম ও নামাজ রুম হিসেবে ব্যবহৃত হয়। শেখ হাসিনা হলের মোট আসন সংখ্যা ৬১০।
ফজিলতুন্নেছা মুজিব হল (নির্মানাধীন)
ফজিলতুন্নেছা মুজিব হল ৯তলা বিশিষ্ট নির্মানাধীন ছাত্রী হল।

Post a Comment

0 Comments