About Barisal

শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল

শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল বরিশাল শহরের দক্ষিণ-পশ্চিম কোনে অবস্থিত। সরাসরি সরকারি ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত এই প্রতিষ্ঠানটি ১৯৬৪ সালের ৬ নভেম্বর থেকে এর নির্মাণ কাজ শুরু হয় এবং ১৯৬৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। স্থাপনকালীন সময় এর নাম ছিলো বরিশাল মেডিকেল কলেজ যা পরবর্তীতে বরিশালের মহান নেতা, শের-ই-বাংলা নামে খ্যাত আবুল কাশেম ফজলুল হকের নামে নামকরণ করা হয়।এখানে ১ বছর মেয়াদী হাতে-কলমে শিখনসহ (Internship) স্নাতক পর্যায়ের ৫ বছর মেয়াদি এম.বি.বি.এস-২২০ এবং বি.ডি.এস-৫২ জন শিক্ষার্থীকে ভর্তি করা হয়ে থাকে। এখানে রয়েছে ১২০০ শয্যা বিশিষ্ট একটি হাসপাতাল, একটি একাডেমিক ভবন, ৩টি ছাত্রাবাস, ২টি ছাত্রী নিবাস, ২টি ইন্টার্নী ডক্টরস হস্টেল, ১টি নার্সিং কলেজ, ১টি নার্সিং ছাত্রীনিবাস, ১টি নার্সিং ছাত্রাবাস , ১টি মসজিদ, ১টি জিমনেসিয়াম, খেলার মাঠ ইত্যাদি।

চিকিৎসার ধরনঃ

বর্তমানে বেড ১২০০, কিন্তু প্রতিদিন গড়ে ১৪০০ রোগী হাসপাতালে ভর্তি থাকেন। অতিরিক্ত রোগীরা হাসপাতালের বারান্দায়, কক্ষের ফ্লোরে বিছানা বিছিয়ে চিকিৎসা নেন। হাসপাতালে জরুরী বিভাগ রয়েছে যারা সর্বদা তৎপর। সংক্রমক ব্যধিতে আক্রান্ত হয়ে যথেষ্ট সংখ্যক রোগী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আসেন।শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের যাবতীয় কার্যক্রম তদারকি এবং  জবাবদিহীতা বাড়ানোর জন্যে অটোমেশন পদ্ধতি চালু হয়েছিল। এ কার্যক্রমের আওতায় শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৪২টি কম্পিউটার, ৫২টি সিসি ক্যামেরা বসানো হয়।
এই হাসপাতালে মূলত সমস্ত সাধারণ রোগের চিকিৎসা এবং অস্রোপচার করা হয়ে থাকে। এখানকার নিজস্ব রোগ পরীক্ষা নিরীক্ষা কেন্দ্র আছে, ডায়ালাইসিস এর ব্যবস্থা আছে এমনকি আইসিইউ রয়েছে।

ডাক্তারঃ

স্বাস্থ্য জনবল প্রসঙ্গে শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজে গুরুত্বপূর্ণ বা জরুরী তেমন ঘাটতি নেই। মেডিকেলে ২২০ জন চিকিৎসকের পদ আছে, নার্স ৪০৫ জন এবং  ইর্ন্টানী ২১০ জন। । তারা নিয়মিত সার্ভিস দিয়ে আসছেন।

বহির্বিভাগঃ

বরিশাল মেডিকেল কলেজে প্রতিদিন ২:০০ লক্ষ টাকার ওষুধ সরবরাহের ব্যবস্থা আছে।  এখানে প্রতিদিন আউটডোরে ১২০০ – ১৩০০ রোগী আসেন। । আউটডোরের ফি ১০-১৫ টাকা

 অন্যান্যঃ


Post a Comment

0 Comments